SSC Chemistry || ৯ম ও ১০ম শ্রেণির রসায়ন ৪র্থ অধ্যায় এর ৩০টি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

SSC Chemistry || ৯ম ও ১০ম শ্রেণির রসায়ন ৪র্থ অধ্যায় এর ৩০টি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

আজকের আর্টিকেলে ৯ম ও ১০ম শ্রেণির রসায়ন ৪র্থ অধ্যায় পর্যায় সারণি এর মোট ৩০টি জ্ঞান ও অনুধাবন মূলক প্রশ্ন উত্তর সহ দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। 

SSC Chemistry


রসায়ন – পর্যায় সারণি – জ্ঞানমূলক ( সূত্র / সংজ্ঞা / সংগা / কাকে বলে )

জ্ঞান মূলক – রসায়ন – পর্যায় সারণি – ৪র্থ অধ্যায় – জ্ঞান মূলক / সংজ্ঞা / সংগা / কাকে বলে / সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর। 


১। পর্যায় সারণি কাকে বলে?

উত্তর: এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মৌলগুলোকে তাদের ধর্ম, বৈশিষ্ট ও ইলেকট্রন বিন্যাস অনুযায়ী সাজানোর জন্য যে ছক ব্যবহার করা হয়েছে তাকে পর্য়ায় সারণি বলে।

২। অরবিট কী?

উ: পরমানুতে নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে ইলেকট্রন আবর্তনের জন্য কতগুলো নির্দিষ্ট শক্তি বিশিষ্ট কক্ষপথ রয়েছে। এদের অরবিট বা প্রধান শক্তিস্তর বা শেল বলে।

৩। অরবিটাল কী?

উত্তর: পরমাণুর প্রতিটি অরবিট বা প্রধান শক্তিস্তর এক বা একাধিক উপশক্তিস্তর নিয়ে গঠিত। এই উপশক্তিস্তর গুলোকে অরবিটাল বলে।

অথবা,  নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে নির্দিষ্ট ত্রিমাত্রিক স্থানে কোন নির্দিষ্ট শক্তিস্তরে ইলেকট্রনের অবস্থানের সম্ভাবনা বেশি থাকে তাকে অরবিটাল বলে। 

৪। ডোবেরাইনার ত্রয়ী সূত্রটি লিখ। / ডোবেরাইনার ত্রয়ী সূত্রটি কী? 

উত্তর: রাসায়নিক ভাবে সদৃশ্য প্রতি 3টি মৌলের মধ্যে মাঝের মৌলটির পারমাণবিক ভর মোটামুটি ভাবে অপর মৌল দুটির পারমাণবিক ভরের গড় মানের সমান হয়।

৫। নিউল্যান্ডের অষ্টক সূত্রটি লিখ।

উ: মৌলগুলোকে তাদের পারমাণবিক ভর অনুসারে সাজালে যেকোনো একটি মৌলের ধর্মের সাথে অষ্টম মৌলের ধর্মের মিল দেখা যায়।

৬। বিজ্ঞানী মোসলের সূত্রটি কী?

উত্তর: পর্যায় সরণিতে মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের ক্রর্মবর্ধমান পারমাণবিক সংখ্যা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে  আবর্তিত হয়।

৭। মেন্ডেলিফের পর্যায় সূত্রটি কী?  

উত্তর: মেন্ডেলিফের পর্যায় সূত্র-  মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক ভর বৃদ্ধির সাথে পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।

৮। আধুনিক পর্যায় সূত্রটি লিখ।

উঃ আধুনিক পর্যায় সূত্র – মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক সংখ্যানুযায়ী পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।

  পর্যায় সারণি – রসায়ন – ৪র্থ অধ্যায় – জ্ঞান মূলক / সংজ্ঞা / সংগা / কাকে বলে / সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

৯। উপধাতু কাকে বলে?

উত্তর: যে সকল মৌল কোনো কোনো সময় ধাতুর মতো আচরণ করে এবং কোনো কোনো সময় অধাতুর মত আচরণ করে তাদেরকে অধাতু বা উপধাতু বলে।

১০। পর্যায়বৃত্ত ধর্ম কাকে বলে ?

পর্যায়বৃত্ত ধর্ম – পর্যায় সরণিতে একই পর্যায়ভুক্ত মৌলসমূহের পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের যে সকল ধর্ম ধারাবাহিক ভাবে পরিবর্তিত হয় সেই মৌলসমূহকে মৌলের পর্যায় বৃত্ত ধর্ম বলে।

আরো পড়ুন >> SSC Chemistry || ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর রসায়ন ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন এবং হ্যান্ড নোট    


নিচের পিকচারটি মূলত দৃষ্টি আকর্ষন করানোর জন্য

SSC Chemistry

উপরের পিকচারটি মূলত দৃষ্টি আকর্ষন করানোর জন্য দেওয়া হয়েছে।


১১। আয়নীকরণ শক্তি কাকে বলে?

উত্তর: গ্যাসীয় অবস্থায় কোন মৌলের এক মোল গ্যাসীয় পরমাণু থেকে এক মোল ইলেকট্রনকে অপসারণ করে এক মোল ধনাত্মক আয়নে পরিণত করতে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয়,তাকে সেই মৌলের আয়নিকরণ শক্তি বলে।

১২। ইলেকট্রন আসক্তি কাকে বলে?

উঃ গ্যাসীয় অবস্থায় কোন মৌলের এক মোল গ্যাসীয় পরমাণুতে এক মোল ইলেকট্রন প্রবেশ করিয়ে এক মোল ঋণাত্মক আয়নে পরিণত করতে যে পরিমাণ শক্তির নির্গত হয়,তাকে সেই মৌলের ইলেকট্রন আসক্তি বলে।

১৩। তড়িৎ ঋণাত্নকতা কাকে বলে?

উত্তর: কোনো সমযোজী যৌগের অণুতে উপস্থিত দুটি ভিন্ন মৌলের পরমাণুর মধ্যে শেয়ারকৃত বন্ধন ইলেকট্রন যুগলকে একটি পরমাণু কর্তৃক নিজের দিকে আকর্ষণ করার তুলনামূলক ক্ষমতাকে ঐ মৌলের তড়িৎ ঋণাত্বকতা বলা হয়।  

১৪। ক্ষার ধাতু কাকে বলে?

উত্তরঃ পর্যায় সারণির গ্রুপ-1 এর ধাতুগুলো পানির সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস ও ক্ষার উৎপন্ন করে। তাই এ ধাতুগুলোকে ক্ষার ধাতু বলা হয়। 

১৫। মৃৎক্ষার ধাতু  কাকে বলে?

উত্তরঃ গ্রুপ-2 এর মৌল গুলোকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়।

১৬। হ্যালোজেন কি?
হ্যালোজেন- পর্যায় সারণির গ্রুপ-17 তে অবস্থিত F, Cl, Br, I এবং At এই মৌল গুলোকে একত্রে হ্যালোজেন বলা হয়।

১৭। নিষ্ক্রিয় গ্যাস কাকে বলে?

উত্তরঃ পর্যায় সারণির  গ্রুপ-18 এর মৌলগুলো রাসায়নিক বন্ধন গঠন বা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় নিষ্ক্রিয় থাকে বলে এদেরকে নিষ্ক্রিয় মৌল বলে।

১৮। অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে?

উঃ যেসব ধাতব মৌলের স্থিতিশীল আয়নের  ইলেকট্রন বিন্যাসের d-অরবিটাল আংশিক ভাবে ইলেক্ট্রন দ্বারা পূর্ণ থাকে, তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বলে।

আরো পড়ুন >> SSC Chemistry || ৯ম ও ১০ম শ্রেণির রসায়ন ৪র্থ অধ্যায় এর ১০টি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর      


১৯। আন্তঃ অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে?

আন্তঃঅবস্থান্তর মৌল- যেসব মৌলের কোনো সুস্থিত আয়নের ইলেকট্রন বিন্যাস f1 হতে f13  থাকে তাদের আন্তঃঅবস্থান্তর মৌল বলে। 
২০। মুদ্রাধাতু কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সমস্ত ধাতু উজ্জ্বল, চকচকে এবং ঐতিহাসিকভাবে যেসব ধাতু দ্বারা মুদ্রা তৈরী করে এবং ক্রয়-বিক্রয় ও অন্যান্য প্রয়োজনে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয় তাদেরকে মুদ্রা ধাতু বলে। গ্রুপ 11 (IB)এর মৌলগুলোকে (Cu, Ag, Au) মুদ্রাধাতু বলে।

POST CODE = JAN252022

২১। IUPAC কি?

উঃ IUPAC (International Union of Pure And Applied Chemistry) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ও ফলিত রসায়ন সংস্থা।

২২। ধাতব ধর্ম কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো ধাতব মৌলের যোজনী স্তরের ইলেকট্রন প্রদান করার ধর্ম করাকে ধাতব ধর্ম বলে।

২৩। হ্যালোজেন শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ ল্যাটিন ‘হ্যালো’ অর্থ সামুদ্রিক লবণ ও ‘জেন’ অর্থ উৎপাদক। সুতরাং , হ্যালোজেন শব্দের অর্থ সামুদ্রিক লবণ উৎপাদক।

২৪। সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন কি?

উত্তরঃ যেসকল হাইড্রোকার্বনে শুধু কার্বন-কার্বন একক বন্ধন (C-C) বিদ্যমান এগুলোই হলো সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন।

২৫। শক্তিশালী এসিড কাকে বলে?

উত্তর: যে সকল এসিড জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণভাবে আয়নিত হয় এবং অধিক পরিমান (H+) আয়ন তৈরি করে তাকে শক্তিশালী এসিড বলে। 




২৬। পর্যায় সারণির মূল ভিত্তি কী?

উত্তর: পর্যায় সারণির মূল ভিত্তি ইলেকট্রন বিন্যাস।

২৭। দূর্বল এসিড কাকে বলে?

উত্তর: সে সকল এসিড জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণভাবে আয়নিত হয় না এবং সামান্য পরিমান (H+) আয়ন তৈরি
করে তাকে দূর্বল  এসিড বলে।

২৮। পর্যায় সারণির মূল উদ্দেশ্য কিভাবে ব্যাহত হয়?

উত্তর: মৌলগুলোকে পারমাণবিক সংখ্যা অনুসারে না সাজিয়ে পারমাণবিক ভর অনুসারে সাজালে পর্যায় সারণির মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।

২৯। মোসলে কর্তৃক আবিষ্কৃত পারমাণবিক সংখ্যা কী নির্দেশ করে?

উত্তর: মোসলে কর্তৃক আবিষ্কৃত পারমাণবিক সংখ্যা মৌলের মোট প্রোটন সংখ্যা বা ইলেকট্রন সংখ্যা নির্দেশ করে।

৩০। পর্যায় সারণিতে ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে কী জানা যায়?

উত্তর: ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে পর্যায় সরণিতে মৌলের গ্রুপ ও পর্যায় জানা যায়। 

উপসংহার জেনে রাখুন 

অনেক ধন্যবাদ সবাইকে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। আশা করি কোন সমস্যা থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। 

তথ্যসূত্রঃ- মঠোস্কুল বিডির একটি ওয়েবসাইট 
Previous Post Next Post